সাব্বির আহমেদ, ইবি প্রতিনিধি :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেছেন, শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে আমরা কখনোই না। কিন্তু অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি শিক্ষার্থীদেরকে এটেনডেন্স ও মার্কস এর ভয় দেখিয়ে ম্যানিপুলেট করে জুলাইবিরোধী কাজগুলো করানোর চেষ্টা করছে। প্রশাসনের কাছে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি যে আপনারা আরও স্ট্রেট হন এবং আপনাদের দায়-দায়িত্ব যেহেতু নির্দিষ্ট কোনো দলের প্রতি না, আপনাদের দায়-দায়িত্ব আমার শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের প্রতি। সেই বিষয় থেকে আপনারা শক্তিশালী ভূমিকা রাখবেন।”
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে জুলাই বিরোধী শক্তির আস্ফালনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “যারা গনহত্যার বৈধতা দিয়েছিল তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন থেকে একটা তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় অনেক রাঘববোয়ালদের নাম আসে নাই। যারা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে তাদেরও নাম আসে নাই। আগামী এক সপ্তাহে মধ্যে জুলাইবিরোধী সকলকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”
এদিন দুপুর দেড় টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট এ্যাকশন, লেগেছে রে লেগেছে ; রক্তে আগুন লেগেছে, দিয়েছি তো রক্ত; আরো দিবো রক্ত, আবু সাঈদ মুগ্ধ ; শেষ হয় নি যুদ্ধ, একটা একটা লীগ ধর; ধইরা ধইরা জেলে ভর সহ নানা স্লোগান দেন।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ সমন্বয়ক ইয়াসকিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রব্বানী, ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন, রাফিজ, তৌহিদ শিবির নেতা রায়হান নেজামীসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে অভ্যুত্থান বিরোধী বহিষ্কৃত দুই শিক্ষককের শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে পৃথকভাবে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচআরএম ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা।





