সুনামগঞ্জ, প্রতিনিধি :
জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত শহীদ সোহাগ মিয়ার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মূশফিকীন নূরের তত্ত্বাবধানে ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর মো. রুবেল রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স ভীমখালী ইউনিয়নের গোলামীপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে সোহাগের লাশ উত্তোলন করেন।
লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, জামালগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রহিছ উদ্দিন, ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান তালুকদার, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফখরুল আলম চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা অজিত কুমার রায়, জেলা প্রশাসনের অফিস সহকারী মো. ফারুক আহমদ, ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া, শহীদের পিতা আবুল কালাম, ভাই শুভ মিয়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সোহাগের পিতা আবুল কালাম বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে তদন্তের স্বার্থে আমার ছেলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হচ্ছে। আমি শুধু চাই আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি হোক। তিনি জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা জানান।
জেলা প্রশাসক ড. ইলিয়াস মিয়া বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় সোহাগকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে আজ লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের খবরে দেশজুড়ে বিজয় মিছিল বের হয়। রাজধানীর এক বিজয় মিছিলে গুলি চালালে নিহত হন ভীমখালী ইউনিয়নের গোলামীপুর গ্রামের মো. সোহাগ মিয়া। পরদিন ৬ আগস্ট গ্রামের বাড়িতে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।





