পুলিশ সদর দপ্তর বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সতর্ক করেছেন যে, সম্প্রতি কিছু প্রতারক চক্র সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা বার্তা পাঠাচ্ছে। এই বার্তায় প্রায়শই ব্যক্তিদের অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, যা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, “একটি আইডিতে কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা উচ্চপদস্থ ব্যক্তির ছবি থাকলেই ধরে নেওয়া যাবে না যে এটি সত্যিই তাদের ব্যবহৃত নম্বর বা অফিসিয়াল পরিচয়। এই ধরনের বার্তায় কেউ প্রতিক্রিয়া না দেখাতে সতর্ক থাকতে হবে।”
সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে, এই প্রতারণামূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতারকরা সক্রিয় রয়েছে। বিশেষ করে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো বার্তায় দাবি করা হয় যে, প্রাপককে জরুরি কারণে টাকা বা ব্যাংক তথ্য প্রদান করতে হবে। এটি ফিশিং বা আর্থিক প্রতারণার পরিচিত চক্রের উদাহরণ।
পুলিশ সদর দপ্তর নিশ্চিত করেছে যে, তারা ইতিমধ্যেই এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারের জন্য অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এছাড়াও, জনগণকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে এবং এ ধরনের বার্তা পেলে তা সরাসরি উপেক্ষা করার বা পুলিশের কাছে জানানো উচিত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তাদের ছবি ব্যবহার করে প্রেরিত কোনো বার্তা যেন “নকল বা মিথ্যা” হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণ মানুষ যাতে এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদে না পড়ে, তার জন্য পুলিশ সদর দপ্তর নিয়মিত সচেতনতা মূলক প্রচারণা চালাচ্ছে।
পুলিশ জনগণকে পরামর্শ দিচ্ছে:
কখনোই অচেনা নম্বর থেকে বা সন্দেহজনক চ্যানেল থেকে অর্থ বা ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য দেবেন না।,অনলাইনে প্রাপ্ত বার্তা যাচাই না করে কোন ধরণের লিঙ্কে ক্লিক করবেন না।, যদি এমন কোনো বার্তা পাওয়া যায়, তা দ্রুত পুলিশকে জানান।
পুলিশের এই সতর্কবার্তা দেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে ধরা হচ্ছে। এটি তুলে ধরে যে, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে অপরাধীরা কত দ্রুত এবং আড়ম্বরভাবে অর্থ প্রতারণার চেষ্টা চালাতে পারে।





