দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনে ঘুম যেন এখন বিলাসিতা। কাজের চাপ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীর্ঘ সময় কাটানো কিংবা মানসিক চাপ— সব মিলিয়ে ঘুমের সময় কমছে দ্রুত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শুধু ক্লান্তি নয়, নানান শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়, যা ধীরে ধীরে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের ওপর প্রভাব ফেলে।
ঘুম কম হলে কী হয়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ঘুমের ঘাটতি হলে মস্তিষ্কে মনোযোগ কমে যায়, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দুর্বল হয় এবং মানসিক অস্থিরতা বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের অভাবে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
প্রযুক্তির প্রভাব
আজকের তরুণ প্রজন্মের অনেকেই শোয়ার আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্মার্টফোনে সময় কাটায়। ঘুমানোর আগে ফোন বা ল্যাপটপের নীল আলো মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়, ফলে ঘুমের সময় পেছায় এবং গভীর ঘুম নষ্ট হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ— ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে ডিজিটাল স্ক্রিন থেকে দূরে থাকা উচিত।
কীভাবে ঘুম ভালো হবে
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যাওয়া ও ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ঘুমের আগে ক্যাফেইন ও ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন।
শোবার ঘরটি রাখুন অন্ধকার, নিরিবিলি ও ঠান্ডা পরিবেশে।
প্রয়োজন হলে হালকা সঙ্গীত বা বই পড়া ঘুমে সহায়তা করতে পারে।
মানসিক প্রশান্তির মূল
ঘুম শুধু শরীর নয়, মানসিক প্রশান্তিরও অন্যতম উৎস। পর্যাপ্ত ঘুম মন ভালো রাখে, উদ্বেগ কমায় এবং কর্মদক্ষতা বাড়ায়। তাই শরীর-মন দুটোরই সুস্থতার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত ও শান্তিপূর্ণ ঘুম।





