মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে নতুন বিধান: ‘না’ ভোট চালু

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী অংশগ্রহণহীন পরিস্থিতিতে ১৫৪ জন এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার অভিজ্ঞতা সামনে রেখে এবার ‘না’ ভোটের বিধান চালু করা হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতের দিকে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে নতুন গণপ্রতিনিধিত্ব (আরপিও) অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এর আগে অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়।

দেশের সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতা ব্যবহার করে নির্বাচনের সময় প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করতে অধ্যাদেশটি সংশোধিত হয়েছে। এতে পূর্বের কিছু নিয়ম পরিবর্তন এবং নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

সংশোধিত আরপিও’র ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে বিশেষভাবে ‘না’ ভোটের প্রावিধান রাখা হয়েছে। বিধান অনুযায়ী, যদি কোনো নির্বাচনি আসনে মাত্র একজন প্রার্থী থাকে, তবে সেই আসনের ব্যালট পেপারে ‘না’ ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে। যদি ‘না’ ভোটের সংখ্যা প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে ওই আসনে নতুন নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

এছাড়া, কোনো প্রার্থী তার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করতে চাইলে আপিলের নির্ধারিত সময় শেষ বা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে না।

পরীক্ষা-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পরও যদি কোনো আসনে শুধুমাত্র একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, তখনও নির্বাচন হবে। এই প্রার্থীও ‘না’ ভোটের প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবেন। যদি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ‘না’ ভোটের চেয়ে বেশি হয়, তবে রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন। অন্যথায়, নতুন করে নির্বাচন আয়োজন করা হবে। তবে দ্বিতীয়বার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও যদি শেষ পর্যন্ত কেবল একজন প্রার্থী থাকেন, তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।

শেয়ার করুন