বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এশিয়ার সেরা ৩১২ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

অপু দাস, স্টাফ রিপোর্টার :
বিশ্বখ্যাত ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংস: এশিয়া ২০২৬’-এ নতুন এক অধ্যায় রচনা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। এশিয়ার মধ্যে ৩১২তম স্থানে উঠে এসে প্রতিষ্ঠানটি আগের বছরের তুলনায় ৮ ধাপ অগ্রগতি অর্জন করেছে। ২০২৫ সালের তালিকায় রাবির অবস্থান ছিল ৩২০তম।
৪ নভেম্বর প্রকাশিত র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী, এশিয়ার মোট ১,৫২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। গত বছরের তুলনায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান বেড়েছে, যা দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নতির ইঙ্গিত দেয়। যদিও এখনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম ১০০-তে জায়গা করতে পারেনি, তারপরও ধারাবাহিক অগ্রগতি আশার আলো দেখাচ্ছে।
র‍্যাঙ্ক নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হয় একাডেমিক ও এমপ্লয়ার রেপুটেশন, ফ্যাকাল্টি-স্টুডেন্ট অনুপাত, গবেষণার সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সংখ্যা, পিএইচডি ডিগ্রিধারী ফ্যাকাল্টি এবং এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ। রাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ও গবেষণার গুণগত উন্নয়নই এবার অবস্থান বৃদ্ধির মূল কারণ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাবির উপাচার্য প্রফেসর সালেহ হাসান নকীব বলেন,
“এই অর্জন শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়—এটি বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার এক গৌরবময় অধ্যায়। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হলে গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত করতে হবে।”
তিনি শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৩২তম স্থানে থেকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শীর্ষে রয়েছে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ১৪৯তম অবস্থানে থেকে বেসরকারি খাতে প্রথম। বুয়েট রয়েছে ১৬৫তম স্থানে। এছাড়া ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ২০১–২৫০ ব্যান্ডে, ব্র্যাক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২৫১–৩০০ ব্যান্ডে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৩৫১–৪০০ ব্যান্ডে, এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৪০১–৪৫০ ব্যান্ডে অবস্থান করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিতে গবেষণা ফান্ড বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক সংযোগ বিস্তার এবং চাকরি-বান্ধব পাঠ্যক্রম উন্নয়ন জরুরি। তাদের মতে, রাবির এই অগ্রগতি দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
শিক্ষাবিদদের প্রত্যাশা—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ধারাবাহিক সাফল্য বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও দৃঢ় ও সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছে দেবে।
শেয়ার করুন